যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ) সদস্য হিসেবে পিরোজপুরের সন্তান আবুল খান জয়ী হয়েছেন। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি নিউ হ্যাম্পশায়ারের রকিংহ্যাম থেকে নির্বাচিত হন। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ব্যালটপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, আবুল খান ৩ হাজার ৪৪৪ ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী প্যাট্রিসিয়া ও’কিফে ২ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে হেরে যান। আবুল ২০১২ সালেও রকিংহ্যাম থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন।
আবুল খান (৬০) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরের প্রয়াত মাহাবুব উদ্দিন খান ও শাহানারা বেগমের বড় ছেলে। ভান্ডারিয়া শহরের খান বাড়িতে তাঁদের বসতঘর রয়েছে। কারুকাজ করা শতবর্ষী গাছের কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন ঘরটি পারিবারিক ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে। আবুল ১৯৮১ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
আবুল খান যুক্তরাষ্ট্রে বাস করলেও সময় পেলে দেশে বেড়াতে আসেন। ভান্ডারিয়া গ্রামে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ তিনি গ্রামে এসেছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, আবুল খান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ জন্ম নেন। তিনি ঢাকার মুসলিম গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে ১৯৭৬ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৮১ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি ‘স্টুডেন্ট ভিসা’য় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি পিরোজপুর শহরের মর্জিয়া হুদা খানকে বিয়ে করেন। তাঁরা নিউ হ্যাম্পশায়ারের সিব্রুকে থাকেন।
আবুল খানের চাচাতো ভাই মহিউদ্দিন খান বলেন, আবুল খান যুক্তরাষ্ট্রে বাস করলেও সময় পেলে দেশে বেড়াতে আসেন। ভান্ডারিয়া গ্রামে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ তিনি গ্রামে এসেছিলেন।