প্রতিবন্ধী মেয়ের বিরুদ্ধে বাবাকে লাঠির আঘাতে হত্যার অভিযোগ
নাটোরের সিংড়ায় বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী এক তরুণীর বিরুদ্ধে তাঁর বাবাকে লাঠির আঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের আগপাড়া গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত কোহিনুর বেগম (২২) বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তবে বিকেল চারটার দিকে উপজেলার বিনগ্রাম এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল ইসলাম তালুকদার (৬০)। তিনি ওই গ্রামের চান তালুকদারের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
বিচ্ছেদের পরে কোহিনুর আবার তাঁর স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে চান। কিন্তু তাঁর বাবা সংসারে ফিরে যেতে নিষেধ করেন তাঁকে।
সিংড়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শামসুল ইসলাম তালুকদার দুই বছর আগে তাঁর প্রতিবন্ধী মেয়ে কোহিনুর বেগমকে একই উপজেলার লালোর ইউনিয়নে বিয়ে দেন। সেখানে কোহিনুর দুই বছর স্বামীর সংসার করেন। পরে সংসারে অশান্তি হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত শুক্রবার তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এর পাঁচ দিন পর কোহিনুর আবার তাঁর স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে চান। কিন্তু তাঁর বাবা সংসারে ফিরে যেতে নিষেধ করেন তাঁকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ে কোহিনুর আজ দুপুরে লাঠি দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সিংড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত বৃদ্ধের লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো কেউ বাদী হয়ে মামলা করেননি। অভিযুক্ত বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী তরুণী ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তবে বিকেল চারটার দিকে উপজেলার বিনগ্রাম এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁকে সিংড়ায় থানায় নেওয়া হয়েছে।