প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য শুরুর দিন ধার্য ছিল।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আসামি উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি চান। আজ (সোমবার) মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করায় সময়ের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত সময় মঞ্জুর করে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এই মামলায় প্রদীপের স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।

দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে। ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী বলে দাবি করলেও তাঁর এমন কোনো ব্যবসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

অভিযোগপত্রে সাক্ষী রাখা হয়েছে ২৯ জনকে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় মামলা করেন তাঁর বোন। ওই বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ।

একই বছরের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।