প্রধানমন্ত্রী চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: তৈমুর

তৈমুর আলম খন্দকার

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বললেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিমত দেন।

তৈমুরের দাবি, জননিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্যই তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে গৃহকর ও পানির বিল কমিয়ে আনবেন। ট্রেড লাইসেন্স ফি কমিয়ে আগের জায়গায় আনা হবে। জন্মনিবন্ধন নিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে যেসব জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে, সেগুলো লাঘবের চেষ্টা করবেন। পুনর্বাসন ছাড়া খেটে খাওয়া মানুষদের উচ্ছেদ করবেন না। নিরাপত্তাবান্ধব নগরী গড়ে তোলার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবেন।

জনগণই তাঁর শক্তি উল্লেখ করে তৈমুর বলেন, ‘আমার পা খুব শক্ত। আমি পঞ্চাশ বছর ধরে নিজের পায়ে হাঁটি।’ নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপির উদ্যোগে তাঁর সভাপতিত্বে বিজয় সমাবেশ করতে চাইলে সেটির অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সরকারদলীয় এমপিদের নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বিজয় সমাবেশ করে ভোট চেয়েছেন। বারবার এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তৈমুর আলম খন্দকার সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে মিজমিজিসহ আশপাশের এলাকার মানুষের কাছে ভোট চান এবং লিফলেট বিতরণ করেন। প্রতীক বরাদ্দের পর এটিই আনুষ্ঠানিক প্রচারণা।

তৈমুরের ট্যাক্স বাড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সদ্য পদত্যাগী মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, সারা দেশের ন্যায় একই নিয়মে গৃহকর আদায় করা হচ্ছে। তিনি তৈমুর আলম খন্দকারকে জনগণের মিথ্যা তথ্য না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এই নির্বাচনে মেয়রপদে আইভী-তৈমুর ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ্ (হাতপাখা প্রতীক), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জসীমউদ্দীন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু ‌(ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৬ জানুয়ানি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।