ফতুল্লায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গাড়ির সিলিন্ডার থেকে গ্যাস অপসারণের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই নারীসহ চারজনের মৃত্যু হলো।

ওই নারীর নাম আসমা বেগম (৪০)। তিনি ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকার আবদুল বাতেনের স্ত্রী। এ দুর্ঘটনায় দগ্ধ হাফসা (৬) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আসমা বেগমের শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এ নিয়ে ওই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো। আসমার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আসমা বেগমের স্বজন আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টায় জানাজা শেষে আলীগঞ্জ কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, আসমার লাশ দাফন ও পরিবহন বাবদ ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিনা বেগম (৪৬) নামের আরেক নারীর মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে পরিবহন ব্যবসায়ী জজ মিয়া (৫৫) ও ট্রাকচালক আলম হোসেনের (৪৫) মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার আলীগঞ্জের ব্যাপারীবাড়ি এলাকায় জজ মিয়ার বাড়ির সামনে ট্রাকমালিক ও চালক আবদুল বাতেন পুরোনো একটি গাড়ির সিলিন্ডার এনে রাখেন। ওই বাড়ির সামনের সড়কের ওপর সিলিন্ডার থেকে গ্যাস অপসারণকালে সেখানে আরেক ট্রাকচালক আলম হোসেন সিগারেটের আগুন জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।

বিস্ফোরণে ১ শিশুসহ ১০ জন দগ্ধ হন। তাঁদের আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে এক শিশু, দুই নারীসহ পাঁচজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সোমবার ভোরে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী জজ মিয়া ও ট্রাকচালক আলম হোসেনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ অপর পাঁচজনকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।