ফিডার রোডে চলেও মৃত্যু এড়াতে পারলেন না খলিল

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কের পাশের সড়ক (ফিডার রোড) দিয়ে বেবিট্যাক্সি চালিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন খলিলুর রহমান (৫০)। কিন্তু হতভাগ্য ট্যাক্সিচালক দুর্ঘটনা এড়াতে পারেননি। সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন যাত্রী। আজ শনিবার দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক কেরামত আলী দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনদের কাছে নিহত ব্যক্তির লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, বড়াইগ্রাম উপজেলার নুরদহ গ্রামের হেজাদ আলীর ছেলে খলিলুর রহমান বেবিট্যাক্সিতে তিনজন যাত্রী নিয়ে বনপাড়ায় যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনা এড়াতে তিনি বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে না গিয়ে পাশের সড়ক (ফিডার রোড) দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর বেবিট্যাক্সিটি সড়কের পাশের একটি গাছে ধাক্কা লাগে। এতে বেবিট্যাক্সিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে চালক খলিলুর রহমান মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন যাত্রীকে পথচারীরা উদ্ধার করে বনপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলীম বলেন, ফিডার রোডটি অত্যন্ত সরু। ফলে পাশ দিয়ে অন্য একটি যানবাহনকে সাইড দেওয়া সম্ভব হয় না। এ জন্য দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফিডার রোড করা হলেও তাতে দুর্ঘটনা কমেনি। বরং প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। জরুরি ভিত্তিতে ফিডার রোডটি প্রশস্ত করা দরকার বলে জানান তিনি।