ফেনীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ, কেন্দ্রের পাশে বিস্ফোরণ

শনিবার সকালে ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেহেদী সাঈদী বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ
প্রথম আলো

ফেনী পৌরসভা নির্বাচনের ভোট চলার সময় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধর ও বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে ফেনী পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর মেহেদী-সাঈদী পৌর বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার দুই প্রার্থী হলেন বিএনপি–সমর্থিত নুর ইসলাম (গাজর প্রতীক) ও তাজুল ইসলাম পাভেল (ডালিম প্রতীক)। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা তাঁদের দুজনকে মারধর করেছেন।

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, বিএনপি–সমর্থিত দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকেরা নিজেরাই ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে ফেনী পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর মেহেদী-সাঈদী পৌর বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এ সময় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ওই ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে।

এদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচুরসংখ্যক বহিরাগত বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছেন। সকাল থেকে আওয়ামী লীগের বহিরাগত নেতা-কর্মীরা কয়েকটি ভোটকেন্দ্র নিজেদের একক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সব ব্যবস্থা হয়েছে। কোনো গোলযোগের খবর তাঁর জানা নেই। সকালে ভোট গ্রহণের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে।