বগুড়ায় ওষুধের দোকান ও ক্লিনিকে অভিযান, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় ওষুধের দোকান ও ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়মের কারণে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরের চার ফার্মেসিতে এবং শাহজাহানপুর উপজেলার একটি ক্লিনিকে এই অভিযান পরিচালিত হয়। শহরে অভিযান পরিচালনায় ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাছিম রেজা ও মো. তাসনিমুজ্জামান। আর শাহজাহানপুরে অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক খান।

বগুড়া শহরের অভিযানে চার ফার্মেসির মালিককে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রিসহ নানা অপরাধে এই জরিমানা করে জেলা প্রশাসন। আজ দুপুরে শহরের খান মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাছিম রেজা ও মো. তাসনিমুজ্জামান যৌথভাবে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি, ফার্মাসিস্ট না থাকায় ওষুধ আইন-১৯৪০ অনুযায়ী শহরের খান মার্কেটের নিশাত মেডিকেল স্টোরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ লাখ ৫০ হাজার অর্থদণ্ড করেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাছিম রেজা। এ ছাড়া বিধিসম্মতভাবে ওষুধ বিক্রি না করায় অনন্যা মেডিকেল স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা এবং মেসার্স নিউ এজ ফার্মাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন তিনি।

এ ছাড়া লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি ও ফার্মাসিস্ট না থাকায় শহরের খান মার্কেটের মেসার্স আলী মেডিকেলকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন মো. তাসনিমুজ্জামান।

অপরদিকে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি পরিচালনা এবং নীতিমালা অনুযায়ী সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও আয়া না থাকায় শাহজাহানপুর উপজেলার আনোয়ারা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন শাহজাহানপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক খান। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. কামাল উদ্দিনকে (৪৫) মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৮ (১) ধারা, বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ এবং ১৯৪০ সালের ওষুধ আইন অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাশেদ নিজাম ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. আব্দুল বারী মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।