বগুড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলিম উদ্দিনের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
দুই দিন আগে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতায় মাহফুজার রহমান নামের সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের এক কর্মী আহত হন। বৃহস্পতিবার আবদুর রাজ্জাক (৩৪) নামের বিদ্রোহী প্রার্থীর এক কর্মীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বিকেলে সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ বন্দরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আবদুর রাজ্জাককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্জাক রজাকপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় ঢালাই কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিতব্য নুনগোলা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলীম উদ্দিন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে নৌকার সমর্থক ও সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার কর্মী মাহফুজার রহমানসহ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ নৌকার কর্মী গোলাম রব্বানীকে বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার করে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুল আলমের সমর্থক রাজ্জাকের ওপর হামলা হয়েছে।
বদরুল আলম দাবি করেন, ‘রাজ্জাক আমার সক্রিয় কর্মী। আলিম উদ্দিনের সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে তাঁকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে।’
আলিম উদ্দিন দাবি করেন, নৌকার কোনো কর্মী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কোনো কর্মীর ওপর হামলা করেনি। উল্টো নৌকার কর্মীদের ওপরই মঙ্গলবার বদরুল আলমের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে আলিম উদ্দিনের কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সরকারি আজিজুল হক কলেজে মিছিল-সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সভাপতি কে এম মোজাম্মেলের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এই প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়।