এ ছাড়া সেখানে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র শামসুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা এ টি এম আবুল মনসুর, শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান, কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মনির হাসান বক্তব্য দেন। তবে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলামকে প্রতিবাদ সভায় দেখা যায়নি। স্থানীয় লোকজন বলছেন, কয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার আসামি আনিচুর রহমান তাঁর সঙ্গে রাজনীতি করেন। ঘটনার দিন সকালে জিয়াউল ইসলাম যখন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন, তখনো আনিচুরকে তাঁর সঙ্গে দেখা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, আনিচুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সরাসরি ভাস্কর্য ভাঙচুরে অংশ নিয়েছেন। কয়া মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।