বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁর নওহাঁটায় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

নওগাঁর নওহাটায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে শুক্রবার সকালে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা
ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁ জেলার নওহাঁটা এলাকায় সরকার অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার নওহাঁটা মোড়ে সচেতন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নওগাঁবাসী ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বলিহার কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু নাসেরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র, চেরাগপুর ইউপির চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র, ভীমপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আলী মণ্ডল, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, হেল্পলাইন হ্যালো নওগাঁর সদস্যরাসহ পাঁচ শতাধিক স্থানীয় লোকজন অংশ নেন। এ সময় তাঁদের হাতে বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ব্যানার দেখা যায়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নওগাঁর নওহাঁটা মোড় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সবচেয়ে যৌক্তিক স্থান। এ স্থান নওগাঁ শহরের খুব কাছাকাছি নয়, আবার শহর থেকে খুব দূরেও নয়। নওহাঁটা চৌমাশিয়া বাজারের পাশে প্রায় ৩০০ একর খাসজমি রয়েছে। এ জমিগুলো সরকার নিজের হেফাজতে নিয়ে এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে সরকারের রাজস্ব খাত থেকে জমি অধিগ্রহণের খরচ কমে যাবে। এ ছাড়া নওহাঁটা থেকে সড়ক পথে আশপাশের জেলা রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।

মানববন্ধনে ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি, নওগাঁয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জেলা শহরের পার্শ্ববর্তী দিঘলীর বিল ও নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়ার বিল এলাকায় মন্ত্রণালয়ের একটি দল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু ওই দুটি স্থানই অযৌক্তিক স্থান হবে। দিঘলীর বিলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে নওগাঁ শহরের ওপর চাপ পড়বে। আর ছাতড়ার বিল সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। সেই তুলনায় নওহাঁটা মোড় হবে সবচেয়ে যৌক্তিক স্থান। এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।’

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ আইন, ২০২২’ ও ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে ৫২টি। এ ছাড়া দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৮টি।