বরগুনায় আ.লীগের ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
এক সংবাদকর্মীকে মারধরের অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল ইসলামসহ তিনজনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সদর থানায় মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাচান।
মামলার বাদী মুশফিক আরিফ মাছরাঙা টেলিভিশনের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি। পুলিশ মামলার ৩ নম্বর আসামি জি এম বাপ্পীকে (২৭) গতকাল শনিবার দুপুরে বরগুনার কদমতলা থেকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১১ নভেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মুশফিক আরিফ মারধরের শিকার হন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বরগুনা জেলা হাসপাতালে পাঠান। নির্বাচনের দিন পরীরখাল ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে ডি এন কলেজের সামনে গেলে নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম দলবল নিয়ে এসে হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করেন।
মামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার নামে একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন রেখে কেন তাঁর সঙ্গে মারামারি করতে যাব? তাঁরা ভোট কাটতে চেয়েছিলেন, স্থানীয় লোকজন তাঁদের প্রতিহত করছেন।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে গত বৃহস্পতিবার বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় ফলাফল স্থগিত করা হয়। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাঁরা দুজনেই ৫ হাজার ৭০০ করে ভোট পেয়েছেন। অপর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ৫ হাজার ১০০ ভোট।