বরিশালে কলেজছাত্রীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

সাদিয়া সাথী
ছবি : সংগৃহীত

বরিশাল বিএম কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সাথীর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে সাদিয়ার বাবা সিরাজুল হক মৃধা বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা করেন।

সাদিয়ার স্বামীর নাম মাইনুল ইসলাম। তিনি বরিশাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কনস্টেবল। ৭ মার্চ বরিশাল সিটি করপোরেশনের বৈদ্যপাড়ার একটি ভবনের পাঁচতলা থেকে সাদিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাদিয়া ও মাইনুল ইসলাম এক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে বরিশালে ভাড়া বাসায় থাকেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুল করিম বলেন, সাদিয়া সাথীর বাবা থানায় লিখিত এজাহার দিলে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী যে–ই হোক, তাঁর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সাদিয়ার মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে বরিশাল মহানগর পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন সাদিয়ার বাবা। গতকাল সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুল হক মৃধা অভিযোগ করে বলেন, সাদিয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর সাত দিন পার হলেও পুলিশ মাইনুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়ও আনেনি। পুলিশ হাসপাতালে মাইনুলকে আত্মগোপনে রাখা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ঘটনার দিন মাইনুল নিজেই কল করে সবাইকে সাদিয়ার মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। যদি মাইনুল সেখানে না–ই থাকতেন, তাহলে কীভাবে জানলেন সাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে!

সিরাজুল হক মৃধা বলেন, ‘মেয়ের এ ধরনের মৃত্যু কতটা কষ্টের, সেটা কাউকে বোঝাতে পারব না। আমি পুলিশ-প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাদিয়ার ভগ্নিপতি নূরে আলম ব্যাপারীসহ স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন