বরুড়ায় দা দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যা

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার গোমতী আবাসিক এলাকার একটি ভবনের বন্ধ থাকা ফ্ল্যাট থেকে তাছলিমা আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে বরুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শালুকিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দা দিয়ে কুপিয়ে এক মাকে খুন করা হয়েছে।
 
দেবীদ্বার থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল দেবীদ্বার গোমতী আবাসিক এলাকাসংলগ্ন পূর্ব বানিয়াপাড়ার সাবেক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল ওয়াহেদের মালিকানাধীন ২৮/১ নম্বর বাড়ি ‘পুষ্পকুঞ্জ’র চতুর্থ তলার পূর্ব পাশের একটি ফ্ল্যাট ৫ হাজার ৫০০ টাকায় ভাড়া নেন রবিউল্লাহ (৩৫) ও তাছলিমা আক্তার (৪০) দম্পতি। এরপর তাঁরা মালামাল নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। রবিউল্লাহ কুমিল্লায় চাকরি করে বলে জানান। এ সময় ভাড়াটিয়া ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার জন্য বলেন। পরে রবিউল্লাহ ২০ এপ্রিল জাতীয় পরিচয়পত্র দেবেন বলে জানান। কিন্তু এদিন পরিচয়পত্র দেননি। পরে ওই ব্যক্তির মুঠোফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর কয়েক দিন ধরে ওই ফ্ল্যাট থেকে গন্ধ আসে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেশি গন্ধ আসছিল। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, বিছানার মধ্যে তাছলিমার অর্ধগলিত লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। তাছলিমা মুরাদনগর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হোসেন মিয়ার মেয়ে।

এদিকে দেবীদ্বারের ওয়াহেদপুর গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে রবিউল্লাহর (৩৫) দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন তাছলিমা। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিউল্লাহকে আটক করেছে।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, তাছলিমাকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেবীদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। এর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় মুরাদনগর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রাম থেকে রবিউল্লাহকে আটক করা হয়।
এদিকে বরুড়া পৌরসভার শালুকিয়া এলাকায় মমিনা বেগমকে (৬৮) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলে ইমাম হোসেন ওরফে সাবুর (৩৮) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত আটটায় ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান মমিনা। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত ব্যক্তির ছেলে ইমামকে গ্রেপ্তার করে। মমিনা শালুকিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে ইমাম হোসেনের মানসিক সমস্যা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ইফতারের আগমুহূর্তে হঠাৎ করে দা নিয়ে এলোপাতাড়ি তাঁর মা মমিনাকে কোপ মারতে থাকে ইমাম হোসেন। পরে দ্রুত মমিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিত্সার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।’

বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, মমিনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।