বর্ষিজোড়া ইকোপার্কে বর্জ্য ফেলায় নিষেধাজ্ঞা

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার লাউরাগা রিজার্ভ ফরেস্ট মৌজায় অবস্থিত বর্ষিজোড়া ইকোপার্কে বর্জ্য ফেলার ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জালিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

সংরক্ষিত বনে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ওই রিট করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

রুলে অবৈধভাবে গাছ ও পাহাড় কাটা, রাস্তা নির্মাণ ও বর্জ্য ড্যাম্পিং থেকে ৮৮৬ একর আয়তনের বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক রক্ষা এবং সংরক্ষণে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইকোপার্কের ক্ষতির জন্য মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জনস্বার্থে পার্কটি সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

পরিবেশসচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বেলা জানায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় লাউরাগা রিজার্ভ ফরেস্ট মৌজায় বর্ষিজোড়া সংরক্ষিত বন অবস্থিত। ১৯১৬ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার এটিকে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করে। সম্প্রতি ইকোপার্কের জায়গায় মৌলভীবাজার পৌরসভা থেকে ময়লা–আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়।

এ ছাড়া আবর্জনা পরিবহনের সুবিধার জন্য রাস্তা প্রশস্ত করতে মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামসংলগ্ন বনের টিলা কেটে মাটি সরানো হয়। শহরের ময়লা–আবর্জনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার কারণে বনের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা বন, বন্য প্রাণীসহ পশুপাখি এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে। বন বিভাগের লিখিত আপত্তি সত্ত্বেও বনের জায়গায় বেআইনিভাবে পৌরসভার ময়লা–আবর্জনা ফেলে রাখা একধরনের জবরদখলের শামিল। এ অবস্থায় বেলা রিটটি করে।