বসতঘরের শোকেজে রাখা বোমার বিস্ফোরণ

শোকেজে রাখা বোমার বিস্ফোরণে তছনছ হয়ে যাওয়া ঘর। বরিশালের গৌরনদীর বার্থী ইউনিয়নের নন্দনপট্টি গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

বরিশালের গৌরনদীর বার্থী ইউনিয়নে বসতঘরের শোকেজে রাখা বোমা বিস্ফোরণে আসবাব ও বারান্দার বেড়া উড়ে গেছে। নন্দনপট্টি গ্রামে আজ সোমবার বেলা পোনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বার্থী ইউনিয়নের নন্দনপট্টি গ্রামে মৃত মোহাম্মদ মৃধার ছেলে কবির মৃধা ওরফে বোমা কবিরের বসতঘরে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বোমা বিস্ফোরণের সময় ঘরের লোকজন ও গ্রামের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

কবিরের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে ১৪ মাসের মেয়ে সাদিয়াকে ঘরের মধ্যে রেখে গোসল করতে পুকুরপাড়ে যান তিনি। বেলা পোনে তিনটার দিকে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরিত হলে ছুটে এসে কান্নারত অবস্থায় সাদিয়াকে উদ্ধার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কবিরের বড় ভাই আয়নাল মৃধার স্ত্রী রুনা বেগম বলেন, ঘরের সামনের বারান্দার শোকেজের মধ্যে বিকট শব্দে কতগুলো বোমা একত্রে বিস্ফোরিত হয়। পরিবারের সদস্যদের দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। রুনা প্রাণভয়ে খাটের নিচে আশ্রয় নেন। বোমার আঘাতে শোকেজটি ছিন্নভিন্ন, আসবাব তছনছ হয়ে গেছে। বারান্দার বেড়ার টিন উড়ে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের ছয় বাসিন্দা জানান, কবির মৃধা বোমা তৈরির একজন কারিগর। তিনি বোমা তৈরি করে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করে থাকেন। তিনি কালা কবির ওরফে বোমা কবির নামেও পরিচিত। ঘটনার পর তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল এসে বসতঘরটি ঘিরে রেখেছে। বোমা বিশেষজ্ঞ দল আসার পরে বসতঘরে প্রবেশ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর কবির, তাঁর স্ত্রী সানজিদা আক্তার মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বসতঘরের মধ্যে সংরক্ষণ করা বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।