বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী চাপ বাড়ছে
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ঘরমুখী মানুষের চাপ রয়েছে। বাংলাবাজার ঘাটে ফেরিতে করে ঢাকামুখী ছোট যানবাহনের ভিড় বাড়ছে। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ ছোট যানে করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন ঢাকামুখী যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল এই নৌপথে। গতকাল বুধবার ঈদের দিন যাত্রীর চাপ কিছুটা কম দেখা গেলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়তে থাকে ঘরমুখী যাত্রীর সংখ্যা। ঈদের পরের দিন অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। অন্যদিকে, ঈদ শেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য যাত্রী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। এ কারণে উভয়মুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘাটের পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক আছে। উভয়মুখী যাত্রী থাকলেও যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ নেই। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ১৫টি ফেরি চালু আছে। ফেরি সার্ভিসে কোনো সমস্যা নেই। তবে তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া থেকে ফেরিগুলো বাংলাবাজারে আসতে কিছুটা সমস্যায় পড়ছে।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে আসা বরিশালগামী যাত্রী শামীম হাওলাদার বলেন, ‘ঈদের আগে অনেক ভিড় থাকে। ভিড় এড়াতেই ঈদের পরের দিন বাড়ি যাচ্ছি। আমি ঘাটে আসামাত্রই লঞ্চে উঠতে পেরেছি। কোনো দুর্ভোগ আর ভিড় ছাড়াই পদ্মা পার হলাম।’
ঢাকার মগবাজার থেকে আসা ঘরমুখী যাত্রী মো. ইউসুফ ব্যাপারী বলেন, ‘শুক্রবার থেকে আবারও লকডাউন শুরু হচ্ছে। এত দিন ঢাকায় ছিলাম। কাজ থাকায় ঈদের আগে বাড়ি যেতে পারিনি। তাই এখন বাড়ি যাচ্ছি। লকডাউনে বাড়িতেই থাকব।’
ঢাকাগামী যাত্রী মো. মহসিন খান বলেন, ‘গত লকডাউনে বাড়ি এসেছিলাম। তাই এখন ঢাকা যাচ্ছি। শুক্রবার থেকে লকডাউন শুরু হলে যাতায়াতে সমস্যা হতে পারে। তাই আজই রওনা দিয়েছি।’
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, ‘ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ এখনো তেমন বাড়েনি। আবার বাড়ি ফিরছেন অনেকে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে এসে নামছেন।’
বাংলাবাজার ঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, ঘাটে ছোট গাড়ির কিছু চাপ আছে। পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক ছোট গাড়ি আটকা পড়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে, ফলে সিরিয়াল মেনেই গাড়িগুলো ফেরিতে লোড দেওয়া হচ্ছে।