বাউফলে মুক্তিপণ দিয়ে ২২ ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন কার্গোচালক

অপহরণ
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর বাউফলে বালুবাহী কার্গো থেকে অপহরণের শিকার চালককে ছেড়ে দিয়েছে ডাকাতেরা। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর স্পিডবোটে করে তাঁকে একটি স্থানে রেখে যাওয়া হয়।

এমভি মদিনার আলো নামের কার্গোটির মালিক গাজী গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, ৪০ হাজার টাকায় রফা হওয়ার পর আজ বুধবার বেলা সোয়া একটার দিকে ওই কার্গোচালককে স্পিডবোটে করে ধুলিয়া মঠবাড়িয়া এলাকায় রেখে যায় ডাকাতেরা। চালকের নাম জাহাঙ্গীর হোসেন (৫২)।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বাউফল উপজেলাসংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া এলাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে অপহরণ করে একদল ডাকাত। জাহাঙ্গীরের বাড়ি উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামে।

এ ঘটনা নিয়ে গতকাল প্রথম আলোতে ‘বালুবাহী কার্গোতে ডাকাত দলের হামলা, চালককে অপহরণ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

কার্গোমালিক গাজী গিয়াস উদ্দিনের ভাষ্য, অপহরণের ঘটনার পর বিষয়টি প্রথমে বাউফল থানা-পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ সরেজমিনে না গিয়েই বলে দেয় স্থানটি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার মধ্যে পড়েছে। এরপর বিষয়টি ভোলা পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি।

গিয়াস উদ্দিন বলেন, একপর্যায়ে ডাকাতেরা জাহাঙ্গীরের মুঠোফোন নম্বর দিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শর্ত দেয় পুলিশকে জানানো হলে জাহাঙ্গীরকে মেরে ফেলা হবে। পরে ৪০ হাজার টাকায় রফা হলে প্রায় ২২ ঘণ্টা পর জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কার্গোতে থাকা বেল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, গত রোববার ভোরে কুষ্টিয়া থেকে বালু বোঝাই করে বাউফলের কালাইয়ার উদ্দেশে রওনা হন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে ৮ থেকে ১০ জনের একটি ডাকাত দল দ্রুতগতির ট্রলার নিয়ে এসে কার্গোতে হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে কার্গোতে থাকা পাঁচজনকে জিম্মি করে মারধর করে মুঠোফোন নিয়ে যায়। চলে যাওয়ার সময় কার্গোর চালক জাহাঙ্গীর হোসেনকে অপহরণ করে ডাকাত দল।

আরও পড়ুন