বাউফলে শিশু ধর্ষণের শিকার, অভিযুক্ত কিশোর পলাতক

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি গ্রামে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার ওই ঘটনার পর শিশুটিকে গভীর রাতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার শিশুটির মা বাউফল থানায় মামলা করেছেন।

শিশুটির মা গতকাল রাতে প্রথম আলোকে জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে এক কিশোর (১৭) শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সে বাড়ির ছাদে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির এক নারী ঘটনাটি জানতে গেলে তাঁকে মারধর করে পালিয়ে যায় ওই কিশোর।

পরে স্বজনেরা ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যান শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী শিশুটির স্বজনেরা ট্রলারে করে নদী পাড়ি দিয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান বলেন, শিশুটিকে দেখে ও তার মায়ের বক্তব্য শোনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শিশুটির মামা বলেন, রাতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তাঁরা পটুয়াখালী যাওয়ার যানবাহন পাচ্ছিলেন না। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁদের বাউফল থানায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তখন পুলিশের সহযোগিতায় গভীর রাতে তাঁরা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, স্থানীয় এক সাংবাদিক শিশু ও স্বজনদের রাত ১২টার দিকে থানায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। পরে রাতেই শিশুটিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আজ এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।