বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। এ সময় জেলায় করোনায় মারা গেছেন দুজন। মোংলা উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আজ রোববার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে মোংলা উপজেলায় শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানায়, এই নিয়ে বাগেরহাট জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫৪৪। এর মধ্যে সুস্থ্ হয়েছেন ১ হাজার ৭০০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫ জন।

সংক্রমণ রোধে সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মোংলা উপজেলার পৌর শহরে চলছে বিধিনিষেধ। তবে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের চলাফেরা বেড়েছে। হাটবাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন না। খেয়া ঘাটে নৌকায় গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার চলছে। ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, সংক্রমণ রোধে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ ২৩ জুন পর্যন্ত চলবে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, তিন সপ্তাহ ধরে জেলায় সংক্রমণের হার বেশি। মোংলা দিয়ে শুরু হলেও রামপাল, ফকিরহাট ও বাগেরহাট পৌরসভা এলাকাও এখন সংক্রমণ বাড়ছে। এসব এলাকা সংক্রমণের নতুন হটস্পট হয়ে উঠছে। জেলায় সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছিল। বর্তমানে সংক্রমণের হার ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির আরও বলেন, বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার আগের দিনের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।