বান্দরবান গিয়ে এক মাস ধরে নিখোঁজ তিন যুবক
প্রায় এক মাস আগে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান গিয়েছিলেন রিদুয়ানুল হক (২৩)। বান্দরবান যাওয়ার দুই দিন পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পায়নি পরিবার। একই অবস্থা রিদুয়ানুলের সঙ্গে যাওয়া অন্য দুজনেরও।
রিদুয়ানুল চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের বাসিন্দা। রিদুয়ানুলের সঙ্গে নিখোঁজ হওয়া বাকি দুজন হলেন ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৩৩) এবং কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা আবু বক্কর (৩২)।
রিদুয়ানুল হকের পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
রিদুয়ানুল হকের মামা মো. ইউনুছ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, রিদুয়ানুল আইন বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নগরের আমিন সেন্টারে মধুর ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক সূত্রে রিদুয়ানুলের সঙ্গে রফিকুল ইসলাম নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ীর পরিচয় হয়। নাইক্ষ্যংছড়িতে রফিকুলের ফলের বাগান রয়েছে। গত ২২ আগস্ট রিদুয়ানুল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির কম্বনিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলামের পেঁপেবাগানে যান। সেখানে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আবু বক্কর। ২৪ আগস্ট বেলা ১১টায় তাঁরা সবাই মোটরসাইকেলে চড়ে রামুর গর্জনিয়া মাঝির কাটা এলাকায় যান। সেখানে এক ব্যক্তির কিছু জমি কেনার উদ্দেশ্যে দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিকেল পাঁচটায় তাঁরা আবার নাইক্ষ্যংছড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর থেকে তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ফোন করলেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ২৯ আগস্ট রামু থানায় তিন পরিবারের সদস্যরা মিলে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, রিদুয়ানুল হকের বাবা দীর্ঘদিন ধরে দুবাই থাকেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে ব্যবসা করেন। রিদুয়ানুলকে নিয়ে তাঁরা সবাই চিন্তিত।
নিখোঁজ রফিকুল ইসলামের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রফিকুলকে না পেয়ে রামু থানায় ডায়েরি করেছেন। এখনো হদিস পাওয়া যায়নি। পরিবারের সবাই চিন্তিত।
আবু বক্করের বোন মরিয়ম আক্তার বলেন, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। রামু থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ভাইকে খুঁজতে তিনি কক্সবাজারে আছেন।
জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের খুঁজে বের করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।