বাবার মৃত্যুর পাঁচ ঘণ্টার মাথায় মারা গেলেন ছেলে
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বাবার লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রুবেল মিয়া। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা–ছেলের এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে। মারা যাওয়া দুজন হলেন মথুরাপুরের গোলাম কিবরিয়া (৭০) ও তাঁর ছেলে মো. রুবেল মিয়া (৩৫)। সোমবার দুপুরে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাম কিবরিয়া ওরফে দিলু মাস্টার (৭০) গতকাল রোববার রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। প্রথমে তাঁকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার তিনি মারা যান। রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এদিকে বাবাকে হারিয়ে কান্না করে জ্ঞান হারান রুবেল মিয়া। সোমবার ভোরে তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গোলাম কিবরিয়া অবসরপ্রাপ্ত একজন স্কুলশিক্ষক ছিলেন। রুবেল মিয়া ছিলেন পেশায় একজন পল্লিচিকিৎসক ও গ্রামের বাজারে ফার্মেসি ব্যবসা করতেন।
উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম বলেন, বাবা-ছেলের এ মৃত্যুতে এলাকাবাসী শোকাহত। সোমবার দুপুরে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে।