বাবা-চাচাকে না পেয়ে শিশুকে পিটিয়ে জখম

ঝালকাঠি জেলার মানচিত্র

ঝালকাঠিতে পূর্বশত্রুতার জেরে বাবা-চাচাকে না পেয়ে ছয় বছরের শিশুকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ঝালকাঠি শহরের পালবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জখম হওয়া শিশুটির নাম নাজিব শেহজাদ। সে এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলামের ছেলে।

শিশুটির মা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমার স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে পৌর কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের ভাই সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলমের নেতৃত্বে সবুজ খান, রুবেল খান, আরিফ খান, আবিদ খানসহ ৮ থেকে ১০ জন আমাদের বাসায় হামলা চালান। এ সময় আমার শিশুপুত্র শেহজাদকে পিটিয়ে জখম করেন তাঁরা। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আমার স্বামীর বন্ধু মেহেদী হাসানও হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝালকাঠি শহরের পালবাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তরা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খানকে কুপিয়ে জখম করে। ১৪ আগস্ট ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর বাঁ হাতের কবজি অপসারণ করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন রাতে কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবির খানের স্ত্রী রুমা বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় ঝালকাঠি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল শরীফের তিন ভাই, আহত শেহজাদের বাবা রাশেদুল ইসলাম ও চাচা সুমনকে আসামি করা হয়। আসামিরা গত বুধবার উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন।

এদিকে গতকাল পালবাড়ি এলাকায় রাশেদুল ইসলামের বন্ধু প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের বোনের বিয়ের আয়োজন চলছিল। সেখানে শাহ আলমের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। পরে রাশেদুল ও তাঁর ভাই সুমনের বাসায় হামলা চালান তাঁরা। রাশেদুল ও সুমনকে না পেয়ে রাশেদুলের শিশুপুত্র শেহজাদকে পিটিয়ে জখম করেন তাঁরা। এ সময় শেহজাদকে রক্ষা করতে মেহেদী হাসান এগিয়ে গেলে তাঁকেও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়। শিশু শেহজাদ ও মেহেদী হাসান বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসাধীন মেহেদী হাসান বলেন, ‘রাশেদুলের শিশুপুত্রকে পেটাতে দেখে আমি বাঁচাতে এগিয়ে যাই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হামলাকারীরা আমাকে জ্বালানির কাঠ দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে শাহ আলম বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমরা জড়িত নই। আমাদের ফাঁসাতে এই ঘটনা সাজানো হয়েছে।’

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।