বালু উত্তোলনে গুলিয়াখালী সৈকত ‘ক্ষতিগ্রস্ত’, আইনি নোটিশ বেলার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকতে পর্যটকের ভিড়
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের গুলিয়াখালী এলাকায় সমুদ্র সৈকত ধ্বংস করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ২০ একর কৃষি জমি পতিত হয়ে পড়েছে। এমন অভিযোগ এনে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১৫ জনকে আইনি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। সোমবার নোটিশটি পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, উত্তর মাহমুদাবাদ ও মান্দারীটোলা এলাকায় বেড়িবাঁধ কেটে বালু উত্তোলন করে পাশের কৃষি জমিতে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি বালু উত্তোলনের কারণে গুলিয়াখালী সৈকত ধ্বংস হচ্ছে। এ কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে ম্যানগ্রোভ বনায়ন প্রকল্পও।

একই কারণে ২০ একর কৃষি জমি পতিত হয়ে পড়ছে বলে নোটিশে অভিযোগ করা হয়। নোটিশে অনুমোদনহীনভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ আদায়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে নোটিশ প্রদানকারী বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্নাকে লিখিতভাবে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে বেলা চট্টগ্রামের সমন্বয়ক এ এইচ এম জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বেলার হয়ে সরেজমিন এলাকাটি পরিদর্শন করে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রমাণ পেয়েছি। পরে বেলা থেকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।’

নোটিশে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান, প্রধান বন সংরক্ষক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বালু উত্তোলক ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও বিবাদী করা হয়েছে।