বাসে রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা, চালকের সহকারী গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় বাসের ভেতরে এক রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার আসামি চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার ৩০ বছর বয়সী মো. ফারুকের বাড়ি উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই রোহিঙ্গা তরুণী বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে চকরিয়া থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসচালকের সহকারী মো. ফারুক, চালক, সুপারভাইজারসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, রোহিঙ্গা তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। তরুণীর করা মামলায় আসামি ফারুকসহ তিনজন। বাকিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আগামীকাল রোববার সকালে মো. ফারুককে চকরিয়া আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই রোহিঙ্গা তরুণী ছয় দিন আগে উখিয়ার কুতুপালং (ক্যাম্প-১) আশ্রয়শিবির থেকে পালিয়ে কাজের সন্ধানে চলে চট্টগ্রাম মহানগরে যান। কাজ না পেয়ে শুক্রবার সকালে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে উঠে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে ফিরে আসছিলেন, কিন্তু ভাড়া দিতে না পারায় দুপুরের দিকে তাঁকে (তরুণীকে) চকরিয়া পৌরসভার বাস টার্মিনালে নামিয়ে দেওয়া হয়। বাস থেকে নেমে তরুণী টার্মিনালের এক পাশে দাঁড়িয়েছিলন। বেলা তিনটার দিকে শ্যামলী পরিবহনের আরেকটি বাসচালকের সহকারী ফারুক তাঁকে কোথায় যাবেন জিজ্ঞাসা করেন। তরুণী উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে যাবেন বললে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আরেকটি খালি বাসে ওঠানো হয়।

মামলায় আরও বলা হয়, বাসটি পৌরসভার বাটাখালী ব্রিজ এলাকায় এসে থামে। এরপর বাসের ভেতরে চালক-সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় তরুণী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। এ সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে চালক মো. ফারুককে আটক করলেও বাসের চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। তাদের হাতে বাসের চালক ফারুককে সোপর্দ করা হয়।