বাড়ির পাশে আমগাছে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর মরদেহ

আত্মহত্যা
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাড়ির পাশের আমগাছ থেকে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের আমতলী মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত অমল দাস (৪৯) ওই গ্রামের প্রয়াত ষষ্টি দাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আমতলী এলাকায় অমল দাসের একটি মনিহারি দোকান ছিল। কিছুদিন আগে দোকানটি বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। একপর্যায়ে অমল দাসকে রেখে স্ত্রী তাঁর বাবার বাড়ি বগুড়ায় চলে যান। এদিকে অমল দাস ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন।

আজ সকালে অমল দাসের মরদেহ তাঁর বাড়ির পাশের একটি আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী উপজেলার হরিণাবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক রায়হান আলী। তিনি বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব মুঠোফোনে বলেন, অমল দাস অভাব-অনাটনের মধ্যে ছিলেন। মাঝে মধ্যে তিনি তাঁকে সহায়তা করেছেন। অভাবের কারণে তাঁর ঋণও ছিল। হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন অমল। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। নিহতের ছোটভাই সুমন দাস নিজের ভাষায় বলেন, ‘হামার দাদার কামকাজ আচিলো না। হামরাও তাক সাহায্যো করচি। কিজন্নে গলাত দরি দিয়া মরলো, হামরা তাক জানিনে।’

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা মুঠোফোনে বলেন, এই ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।