বিএনপির ইফতার মাহফিলে হামলা, যুবলীগ–ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের পুলিশের ধাওয়া

বিএনপির ইফতার মাহফিলে দেশি অস্ত্র হাতে হামলাকারীরা। আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চরনিখলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালান বলে অভিযোগ বিএনপির। হামলায় ইফতার মাহফিল পণ্ডের পর পুলিশ এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন। এ সময় হামলাকারী কয়েকজন পুলিশের পিটুনির শিকার হন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আজ শনিবার বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চরনিখলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিল উপজেলা বিএনপি। হামলার ঘটনায় বিএনপির কয়েকজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা পরে শহরের গোহাটায় অবস্থিত দলটির অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর করে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, তাঁদের ইফতার মাহফিলটি ছিল পূর্বঘোষিত। এ উপলক্ষে চরনিখলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠের এক কোণে একটি ছোট মঞ্চ ও কিছু চেয়ার-টেবিল পাতা হয়েছিল। বিকেল চারটার দিকে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় বিদ্যালয়ের ফটক দিয়ে যুবলীগের নামে স্লোগান দিতে দিতে কিছু নেতা–কমী দেশি অস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ইফতার মাহফিল মঞ্চের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইফতার আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকা বিএনপির কয়েকজন কর্মী হামলার শিকার হয়ে আহত হন।

বিএনপির ইফতার মাহফিলে দেশি অস্ত্র হাতে হামলাকারীরা। আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চরনিখলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাঁরা হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে বিদ্যালয় মাঠ থেকে বের করে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন হামলাকারী পুলিশের পিটুনির শিকার হন। পরে হামলাকারীরা মিছিল করে শহরের গো-হাটায় অবস্থিত উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে।

এক হামলাকারীকে পেটাচ্ছে পুলিশ
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবুল খায়ের মুঠোফোনে বলেন, যুবলীগের কেউ হামলা চালায়নি। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বিএনপি সেখানে পাঁচ-ছয় হাজার লোকের ইফতারির আয়োজন করেছিল। ইফতারের পর দলটির নেতা–কর্মীরা মিছিল করার পাঁয়তারা চেষ্টা করেছিল। পুলিশ সেখানে পৌঁছার পর বিএনপির নেতা–কর্মীরা পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় তাঁদের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

ভাঙচুর হওয়া অনুষ্ঠানস্থল
ছবি: প্রথম আলো

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। হামলাকারীদের তিনি চেনেন না। ইফতার আয়োজনটি পাঁচ-ছয় হাজার লোকের ছিল না। এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।