বিএনপি নেতাদের সাঁতার কেটে পদ্মা পার হওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর

আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁয় আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির নেতাদের সাঁতার কেটে পদ্মা নদী পার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁ শহরের সরিষাহাটির মোড়ে আয়োজিত পথসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ করে খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আপনাদের নেত্রী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ আমলে নির্মিত হলেও সেই সেতুতে উঠতে নিষেধ করেছিলেন তিনি। কারণ, সেতুটি নাকি জোড়াতালি দিয়ে বানানো হবে। সেতু তো হয়ে গেল। এখন তো আপনারা নেত্রীর কথা শুনলে, পদ্মা সেতুতে উঠবেন না। আবার নৌকা তো আওয়ামী লীগের প্রতীক, সেখানেও উঠবেন না। তাহলে আপনারা সাঁতার কেটে পদ্মা নদী পার হন। আমরা পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার হব।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু যেন না হয়, সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আমাদের চোর সাব্যস্ত করে মামলা করেছে। কিন্তু আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে আদালতে প্রমাণ হয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি করে দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতু আজকে আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন বাংলাদেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা আনন্দে ভাসবেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে দাবি করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে দেশে-বিদেশে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’। এর মাধ্যমে তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁরাই হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছেন। আবারও তাঁরা ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এ অপশক্তিকে রুখে দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মালেক। সভায় বক্তব্য দেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল, জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায় প্রমুখ।

এর আগে সকাল নয়টায় শহরের সরিষাহাটির মোড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। বেলা ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।