বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় পরাজিত প্রার্থী নিহত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শাহারুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন
ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাহারুল ইসলাম (৪৫) নামের এক পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তবে শাহারুলের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ওই ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য ফিরোজ কবিরের সমর্থকদের হামলায় শাহারুল ইসলাম মারা গেছেন। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শাহারুল ইসলাম হরিরামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৮৩৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। তিনি একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একই ওয়ার্ডে ফিরোজ কবির সাধারণ সদস্যপদে ফুটবল প্রতীকে ৯৮৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

শাহারুলের পরিবারের দাবি, আজ মঙ্গলবার বিকেলে শাহারুল ইসলাম পাশের গ্রামে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে ফিরোজ কবিরের সমর্থনে হরিরামপুর গ্রামের হাজিরবাজার চৌমাথায় একটি বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলটি পরাজিত প্রার্থী শাহারুলের বাড়ির অদূরে পৌঁছালে তাঁর (শাহারুল) এক সমর্থককে মারধর করেন মিছিলকারীরা। খবর পেয়ে শাহারুল তাঁকে রক্ষার জন্য সেখানে যান। এ সময় মিছিল থেকে শাহারুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে শাহারুলকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সারওয়ার জাহান বলেন, রোগীকে হাসপাতালে আনার পর তাঁর শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

শাহারুলের ছেলে শিহাব মিয়া বলেন, আজ বিকেলে তাঁর বাবা দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিজয়ী ইউপি সদস্য ফিরোজের মিছিল থেকে তাঁদের একজন কর্মীকে মারধর করা হয়। এটা শুনে তাঁর বাবা সেখানে যান। পরে তাঁর বাবার বুক, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। তাঁকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।