বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার শুরু

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজতজয়ন্তী ও ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
ছবি: জুয়েল শীল

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজতজয়ন্তী ও ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধারণকৃত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজসংস্কারে টেলিভিশন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রভৃতি সামাজিক ব্যাধি নির্মূলে টেলিভিশন মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার হবে। কেব্‌ল নেটওয়ার্ক ছাড়াই এটি দেশের ৭৫ ভাগ এলাকায় দেখা যায়। মোবাইল অ্যাপেও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে সব অনুষ্ঠান দেখা যায়।

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজতজয়ন্তী ও ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ছবি: জুয়েল শীল

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সব টিভিকে আহ্বান জানাব যেন দেশ ও সমাজ গঠনে কাজ করতে পারে। মানুষের মনন গঠনে টিভি অনুষ্ঠান খুব প্রভাব ফেলে। অনুষ্ঠানমালা এমন হওয়া প্রয়োজন, যেন বার্তা থাকে। দেশ গঠন, সমাজ গঠন, দেশাত্মবোধ ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে ভূমিকা রাখে। বেসরকারি টেলিভিশন প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই হয়েছে।’

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এত দিন সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়নের রাজনৈতিক সৎসাহস দেখতে পাইনি। তথ্যমন্ত্রী সেটা করেছেন। সম্প্রচার জগতে কর্মসংস্থান ও উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সংস্কৃতি ও বিনোদনকর্মীরা যদি পেশা থেকে উপার্জন করতে না পারেন, তাহলে লাখ লাখ গ্র্যাজুয়েট বেকার থাকবেন।

চট্টগ্রামের সমৃদ্ধ অতীত ছিল সাংস্কৃতিক জগতে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গেলে বলা হয়, আপনাদের ওখানে হেফাজতের সৃষ্টি হয়েছে। বলেছি, না। চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে গৌরবের সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বৈচিত্র্যের ঐতিহ্য তুলে ধরতে চাই।’