বিদ্যালয়ের মাঠের দোকানঘর ভেঙে দিল পৌর কর্তৃপক্ষ

সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের দোকানঘর বৃহস্পতিবার ভেঙে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষপ্রথম আলো

ঝালকাঠির সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অবৈধভাবে নির্মাণ করা আটটি দোকানঘর ভেঙে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়।

দোকানঘর ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি শারমিন মৌসুমি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সামনে বিদ্যালয়টির অবস্থান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট রাত থেকে শহরের গুরুধাম প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ জন্য বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটিও ভেঙে ফেলা হয়। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নষ্ট করে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শারমিন মৌসুমির বিরুদ্ধে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠে।

চলতি মাসের শুরুতে শারমিন মৌসুমিকে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। পরে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গাজী সানাউল হক সভা করে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীতা মণ্ডল এই স্থাপনা অপসারণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

বেলা ১১ থেকে স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করেন শ্রমিকেরা। সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে
প্রথম আলো

ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের উপস্থিতিতে আজ বেলা ১১টা থেকে স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের নতুন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গাজী সানাউল হক, প্রধান শিক্ষক রীতা মণ্ডলসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, পৌরসভায় যে কাগজপত্র দিয়ে নকশা নেওয়া হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না। তাই নকশা বাতিল করা হয়েছে। অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীতা মণ্ডল অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি থাকাকালে শারমিন মৌসুমি জোর করে রেজল্যুশন করেন। সে অনুযায়ী খেলার মাঠে অবৈধভাবে স্টল নির্মাণ শুরু করেন।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শারমিন মৌসুমি বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ষড়যন্ত্র করে তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।