বিয়েবাড়িতে ডাকাত দলের হানা, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

কক্সবাজারের টেকনাফে এক বিয়েবাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নববধূর ও বিয়েবাড়িতে আসা অতিথিদের স্বর্ণালংকার, টাকা, মুঠোফোন লুট করে নিয়ে গেছেন মুখোশধারী ডাকাতেরা।

রোববার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী পাহাড়ি এলাকার খলিলুর রহমানের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদের মারধরে খলিলুরের ছেলেসহ চারজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম জানা যায়নি। বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাত হোসেন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ, ওই পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে সাদেকা ইয়াসমিনের সঙ্গে একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে রহমত উল্লাহর বিয়ে হয়। এ উপলক্ষে রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠানে খলিলুর রহমানের বাড়িতে দূরদূরান্ত থেকে নিকটাত্মীয়রা অংশ নেন। আয়োজন রাতে হওয়ায় অনেক অতিথি নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে না পেরে ওই বাড়িতে রাত যাপন করেন। রাত দেড়টার দিকে বাড়িতে হানা দেয় মুখোশধারী ডাকাত দল। এ সময় অস্ত্রের মুখে বাড়িতে থাকা লোকজনকে জিম্মি করে লুটপাট চালায় দলটি।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, ডাকাতেরা নববধূ সাদেকা ইয়াসমিনের পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্য অতিথিদের আরও কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার, ৯০ হাজার টাকা, কয়েকটি মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান, যার মূল্য ১৫ লাখ টাকার বেশি।

বিয়েবাড়ির জেনারেটর অপারেটর ছৈয়দুর রহমান বলেন, মুখোশধারী ডাকাত দলে ১৮-২০ জন সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন ঘরে ঢোকেন। আরও ১০-১২ জন আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘরের বাইরে অবস্থান নেন। কথা শুনে তাঁদের স্থানীয় বলে মনে হয়েছে।

ডাকাত দলের মারধরে তিনিসহ চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন খলিলুর রহমানের ছেলে আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের কয়েকজন ঘরের প্রধান দরজা ধাক্কাতে থাকেন। এ সময় আমি প্রতিহত করার চেষ্টা করি। পরে খুন্তি দিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাদের কয়েকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করেন তাঁরা। এ সময় আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আলমারি থেকে স্বর্ণালংকার, মুঠোফোন ও টাকা লুটপাট করে নিয়ে যান।’

জানতে চাইলে বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’