বৃষ্টি-খানাখন্দে যান চলাচলে ধীরগতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজ রোববার যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে যান চলাচলে দেখা দেয় ধীরগতি। দুপুরে টঙ্গী বাজার এলাকায়।আল-আমিন

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গতকাল শনিবারের তুলনায় আজ রোববার সকাল থেকে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় যান চলাচলে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ।

গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের ভাষ্য, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এয়ারপোর্ট থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। এ কাজ করতে গিয়ে সড়কে তৈরি করে রাখা হয়েছে গর্ত, ফেলে রাখা হয়েছে বালু, মাটিসহ নির্মাণসামগ্রী। পুরো সড়কই এখন খানাখন্দে ভরা। এসব কারণে সড়কটি দিয়ে ঠিকমতো যান চলাচল করতে পারে না। এর মধ্যে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় যান চলাচলে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। এতে থেমে থেমে দেখা দিয়েছে যানজট।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজ রোববার যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে যান চলাচলে দেখা দেয় ধীরগতি। দুপুরে টঙ্গী বাজার এলাকায়।
প্রথম আলো

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো সড়ক কাটা। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা টঙ্গী বাজার থেকে গাজীপুরা পর্যন্ত। সড়কজুড়েই গর্ত, ভাঙা। এর মধ্যে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এসব গর্ত বা ভাঙা জায়গায় জমে গেছে হাঁটুপানি। গর্তে পড়ার ভয়ে কোনো যানবাহন এগোতে পারছে না। যানবাহনের জট তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা দিয়েছে রাজধানী ঢাকাতেও।

এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। অফিসগামী বা সাধারণ মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই যেতে পেরেছেন। তবে বৃষ্টিতে যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি দেখা দেয়।

আবদুল্লাহপুর পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মো. সাজ্জাত হোসেন বলেন, সকালে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পরে বৃষ্টির কারণে খানাখন্দ পানিতে ভরে গেলে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা দেয়।