বৃষ্টি না হওয়ায় এবার সোনারগাঁয়ে লিচুর ফলন কম

গাছে গাছে পেকে আছে লিচু। বাগমুছা গ্রাম, সোনারগাঁ, ৫ মে
ছবি: প্রথম আলো

বাজারে এসেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কদমি লিচু। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রচণ্ড খরা থাকায় লিচুর ফলন কম হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লিচুচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৮৫টি গ্রাম লিচুর জন্য বিখ্যাত। তবে সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী, হরিষপুর, দুলালপুর, পানাম গাবতলী, খাসনগর দিঘীরপাড়, চিলারবাগ, ইছাপাড়া, দত্তপাড়া, হাতকোপা, অজুন্দী, বাগমুছা, গোবিন্দপুর, লাহাপাড়া, বালুয়াদিঘীরপাড় ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া, হামছাদী, দামোদরদী, পঞ্চবটী, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া ও গোহাট্টা এলাকায় সবচেয়ে বেশি লিচুর বাগান রয়েছে। এসব এলাকার প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় ও আশপাশের ভিটা বাড়িতে লিচুর চাষ করা হয়।

আদমপুর এলাকার লিচুচাষি আমজাদ হোসেন বলেন, সোনারগাঁয়ে কদমি লিচু, পাতি লিচু ও চায়না-৩—এই তিন ধরনের লিচুর চাষ বেশি চাষ হয়েছে। এ এলাকার লিচু দেশের অন্যান্য এলাকার আগে পাকে ও সুস্বাদু।

হরিষপুর গ্রামের লিচুচাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর লিচুর আকার ছোট ও শাঁস কম হয়েছে।

বুধবার দুপুরে বিভিন্ন লিচুবাগান ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি মহাজনেরা লিচুবাগানে এসে ভিড় জমিয়েছেন। শ্রমিকেরা গাছ থেকে লিচু ছিঁড়ে গণনা করে আঁটি বাঁধছেন। স্থানীয় অনেকে আবার শখ করে বাগান থেকে খুচরা লিচু কিনছেন। স্থানীয় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাজারে প্রতি শ লিচু ২০০ থেকে শুরু করে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লিচু ব্যবসায়ী নুর হোসেন বলেন, এ বছর আগাম লিচুর বাগান কিনে কয়েক শ ব্যবসায়ী লোকসান দিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, এ বছর সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় লিচুর ফলন কম হয়েছে।