বেতন পাচ্ছেন না ৫৯৬ শিক্ষক–সুপারভাইজার

ঈদের আগে তাঁদের বকেয়া বেতন-ভাতা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

যশোরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ‘আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন’ কর্মসূচির ৫৯৬ জন শিক্ষক ও সুপারভাইজার ৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। ঈদের আগে তাঁদের বকেয়া বেতন-ভাতা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে শিশু জরিপ ও শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করে আসছেন শিক্ষক–সুপারভাইজাররা। সেই খরচও পাচ্ছেন না তাঁরা। এ কারণে মানবেতর দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।

প্রকল্পে কর্মরত ১৪ জন শিক্ষক ইতিমধ্যে বকেয়া বেতন-ভাতা চেয়ে যশোরের জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো যশোরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার লক্ষ্যে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো একটি প্রকল্প নিয়েছে। সরকারের অংশীজন হিসেবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দিশা সমাজকল্যাণ সংস্থা যশোর জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যশোরের বিভিন্ন উপজেলার ৫৫১টি স্কুল চালু করা হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকার স্কুলশিক্ষকের বেতন ১০ হাজার ও উপজেলার অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা আছে। ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন পরিশোধ করা হবে বলে শিক্ষকদের দিয়ে ব্যাংকে নিজ নিজ হিসাব খোলানো হয়েছে। চার মাস ধরে শিক্ষকেরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অধিদপ্তরের অর্থ বিভাগে কয়েক দফায় কথা বলেছি। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে এই প্রকল্পে অর্থ ছাড় করা হয়নি।
বজলুর রশীদ, সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, যশোর

শিক্ষকেরা বলেন, স্কুল শুরুর আগে শিশু জরিপ বাবদ প্রাপ্য সম্মানী এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে নিজেদের টাকায় শিক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নিজেদের খরচই চালাতে পারছেন না। এমন অবস্থা যে চাকরি ছাড়তে পারছেন না। আবার ঠিকমতো দায়িত্বও পালন করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে দিশা সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা বলেন, বেতন দেবে সরকার। সরকার টাকা ছাড় করেনি। এ জন্য শিক্ষকদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো যশোরের সহকারী পরিচালক বজলুর রশীদ বলেন, ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অধিদপ্তরের অর্থ বিভাগে কয়েক দফায় কথা বলেছি। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে এই প্রকল্পে অর্থ ছাড় করা হয়নি।’