ব্রহ্মপুত্র-ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার ওপরে, গাইবান্ধায় ২০ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বন্যার পানিতে ৪ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের ৫৯টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। গতকাল রোববার সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া গ্রামের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার বেলা তিনটা থেকে আজ সোমবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদের পানি ১৫ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা তিনটায় ঘাঘট নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের ৫৯টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৮৮৮ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৬১৮ জন মানুষ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চার উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তবে গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও আপাতত গাইবান্ধায় বড় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।