ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংসতায় গ্রেপ্তার আরও ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় ঘটনায় হেফাজতের এক কর্মী ও এক সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, তাঁরা হেফাজতের কর্মী-সমর্থক। এসব ঘটনায় হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত  ৪৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শহরতলির শেরপুর গ্রামের হেফাজত কর্মী মো. বোরহান (৩০) ও সরাইল উপজেলার রানীদিয়া গ্রামের বাসিন্দা হেফাজতের সমর্থক জমসেদ মিয়া (৫০)। বোরহান গত ২৮ মার্চ জেলা শহরের পুরাতন কাচারী পুকুর চত্বর ও আশপাশের এলাকার সহিংসতা এবং জমসেদ গত ২৭ মার্চের সরাইল উপজেলার অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জেলাজুড়ে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান। জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবাই অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী।

৫৬টির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা হয়। সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা শুরু করেছে। গত সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় জেলার সদর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হেফাজতের কর্মী ও সমর্থক।