ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়কে খুঁটি ফেলে, আগুন ধরিয়ে হেফাজতের হরতাল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচি চলছে। শহরের টি এ রোড এলাকা থেকে রোববার তোলা ছবি
প্রথম আলো

হেফাজতে ইসলামের ডাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হরতাল চলছে। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে শহরের কান্দিপাড়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়।

স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে জেলা শহরের টি এ রোডের আশিলপ্লাজা হোটেলের সামনের এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং রাস্তায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে হরতাল কর্মসূচি পালন করেন মাদ্রাসার ছাত্ররা। সকাল সাড়ে আটটার দিকে কান্দিপাড়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান টি এ রোড, ঘোড়াপট্টি সেতু, মঠের গোড়া, পৌর আধুনিক সুপারমার্কেট ঘুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

সেখানে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমান, হেফাজতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোবারকুল্লাহ, শিক্ষাসচিব সামসুল হক ও জেলা কওমি ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা মো. এরশাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন নন্দনপুর হারিয়া গ্রামের ওয়ার্কশপের দোকানি জহিরুল ইসলাম ওরফে জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্রমিক বাদল মিয়া (২৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বারিউড়া এলাকার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২) ও বুধল ইউনিয়নের বুধল গ্রামের প্লাম্বার শ্রমিক মো. কাউওসার (২২)।

তবে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাজিদুর রহমানের দাবি, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হওয়ার তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন করে কোনো মামলা বা আটকের ঘটনা ঘটেনি।