ভাঙ্গায় হাত-মুখ বেঁধে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক নারীকে (২৫) হাত-মুখ বেঁধে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন। আজ সোমবার শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন রুবেল শেখ (২২), শাহিন কাজী (২৬), সজীব কাজী (২০), রাকিব খান (২৫) ও হাসিবুল ভূঁইয়া (২০)। তাঁরা সবাই উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। ৪ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। তাঁর একটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান আছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি ছেলেমেয়ে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। টাকার প্রয়োজনে ২৮ মার্চ বিকেলে তিনি শ্বশুরবাড়িতে যান। সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে দুই আত্মীয়কে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁরা আলেখারকান্দা গ্রামের আউড়াবাগ এলাকায় এলে আসামিরা চাকু দিয়ে দুই আত্মীয়কে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন এবং পাশের ভদ্রকান্দা এলাকার একটি গমখেতে নিয়ে ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

নাসিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারী ওই পাঁচজনের নামে তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পর কী ঘটেছে, তা জানার জন্য তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিষদে আসার জন্য নোটিশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি। ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, যে পাঁচজনের নামে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, তাঁরা সবাই খারাপ নন। তাঁদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে আগে এ-জাতীয় ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ আছে।

ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে আজ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।