ভেটেরিনারি সার্জন নেই প্রাণীদের সেবা ব্যাহত

গত ১০ মে রাতে উপজেলার বোয়ালী গ্রামে কৃষক মো. আজহারের তিনটি গাভীর আকস্মিক মৃত্যু হয়।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে দেড় বছর ধরে ভেটেরিনারি সার্জন নেই। প্রাণিসম্পদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য নেই জরুরি বিভাগ। এ কারণে ১ লাখ ২০ হাজার গবাদিপশু ও ২০ লাখ হাঁস-মুরগির সেবার জন্য খামারি ও চাষিদের পল্লি ও হাতুড়ে চিকিৎসকের দারস্থ হতে হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আওতাধীন ২১ লাখ প্রাণী সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানোর কারণে গত ১০ মে রাতে উপজেলার বোয়ালী গ্রামে কৃষক মো. আজহারের তিনটি গাভীর আকস্মিক মৃত্যু হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় হাজার খানেক গরু-ছাগলের খামারসহ আড়াই হাজার মুরগির খামার রয়েছে। ব্যক্তিপর্যায়েও কৃষকেরা গরু-ছাগল, মহিষ, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, কুকুর লালন–পালন করছে। এর মধ্যে ৫৬০টি গরু-ছাগলের, ৭০০টি লেয়ার ও ৫৫০ ব্রয়লার মুরগির খামারের নিবন্ধন রয়েছে।

উপজেলায় গবাদিপশুর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে শুধু গরুর সংখ্যা ৯০ হাজার। এ ছাড়া উপজেলায় ১৪ লাখ লেয়ার ও ৬ লাখ ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। উপজেলায় মোট ২১ লাখ ২০ হাজার প্রাণির জন্য একজন ভেটেরিনারি সার্জন চিকিৎসক নিয়োজিত রয়েছে। অথচ গত দেড় বছর ধরে ওই পদটিও শূন্য।

উপজেলা পোলট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার কোনো খামারিই ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে কোনো সেবা পায় না।

টাঙ্গাইল জেলা পোলট্রি মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ বলেন, খামারিরা এখন ধ্বংসের মুখে। এ খাতকে উন্নয়ন করতে হলে দক্ষ জনবল বৃদ্ধি, চিকিৎসক নিয়োগসহ সরকারের দৃষ্টি আরও প্রসারিত করতে হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সামিউল বাছির বলেন, জেলায় ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলাতেই ভেটেরিনারি সার্জন নেই। জরুরি বিভাগ চালু করতে হলে উপজেলায় অন্তত তিনজন ভেটেরিনারি সার্জন লাগবে। অথচ এ উপজেলায় দেড় বছর ধরে ভেটেরিনারি সার্জনই নেই। তারপরও এ উপজেলায় ছুটির দিনেও খামারিদের সেবার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।