এদিকে আজ দিনভর শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট গ্রহণ হয়েছে। ২,৩, ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে দিনের শুরু থেকেই ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে কেন্দ্রগুলোর বাইরে সচেতনতামূলক ব্যানার টাঙানো ছাড়া তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।

সকাল সাড়ে নয়টায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তারাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোটাররা। মাস্কহীন ছিলেন অনেক ভোটার। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে একসঙ্গে একজনের বেশি ভোটার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং ভোটকক্ষে প্রবেশের সময় ভোটারদের হাতে জীবাণুনাশক দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কক্ষেই সে নিয়ম মানা হয়নি।

বেলা সাড়ে ১১টায় ওয়াজেদ আলী মেমোরিয়াল হাইস্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আহসান বলেন, তাঁর কেন্দ্রের ২ হাজার ২৬২ জন ভোটারের মধ্যে প্রথম সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ৩০ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে বলেন, ভোটারদের বলেও দূরত্ব রক্ষা করা যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ভোটারদের হাতে জীবাণুনাশকও দেওয়া যাচ্ছে না।

তবে দুপুরে ১ নম্বর ওয়ার্ডের গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রূপসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রগুলোতে কোনো ভোটার চোখে পড়েনি।

গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, তাঁর কেন্দ্রে ২ হাজার ২৪ জন ভোটারের মধ্যে বেলা ২টা পর্যন্ত ১৪ ভাগ ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। তার মতে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ছাড়া ওয়ার্ডগুলোতে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় ভোটাররা ভোট দিতে আসেননি।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক ছিল।