ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ করে যৌথ আন্দোলন করার আহ্বান

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা
ছবি: প্রথম আলো

পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধভাবে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাহাড়ি জনগণকে লড়াই–সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকতে হবে। নিজেদের সংগঠিত হতে হবে।

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা–পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে চেরাগি পাহাড় মোড়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের আগে নগরের ডিসি হিল থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় পাহাড়ি তরুণ–তরুণীরা অংশ নেন।

পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি সুনয়ন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা পরিষদের সদস্যসচিব সুশান্ত বড়ুয়া, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রাম পূর্ব-৩ অঞ্চলের সভাপতি ভূলন ভৌমিক, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নীতি চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তিতাস চাকমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের অর্থ সম্পাদক অ্যানি চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সাইফুর রুদ্র প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অঙ্কন চাকমা।

শোভাযাত্রা–পরবর্তী সমাবেশে পাহাড়ি তরুণ–তরুণীরা অংশ নেন
ছবি: প্রথম আলো

সুশান্ত বড়ুয়া বলেন, ‘পাহাড়ে প্রতিদিন কোনো না কোনোভাবে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। আমাদের মা যখন ধর্ষিত হয়, আমাদের ভূমিকে যখন কেড়ে নেওয়া হয়, তখন আমাদের বেঁচে থাকা আর না থাকার কোনো পার্থক্য থাকে না। পাহাড়ি জনগণকে লড়াই–সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে।’

ভূলন ভৌমিক বলেন, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিবর্তন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন কিংবা সমতলে জনগণের মুক্তি হবে না। পাহাড়ে পর্যটনের নামে ভূমি বেদখল করা হচ্ছে। সর্বশেষ লামায় রবারবাগানের নামে ভূমি বেদখল হয়েছে। এগুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থী।