মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে আইনজীবী পরিবারকে মারধরের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ জেলার মানচিত্র

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় পূর্বাচল সিটির পাশে জমি দখলে বাধা দেওয়ায় এক আইনজীবী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মারধরের শিকার হয়েছেন। উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িয়া সনি গ্রামে আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

হামলার শিকার আইনজীবী শাহানারা বেগম বলেন, তাঁর শ্বশুরের ১১৬ শতাংশ জমির মধ্যে তাঁরা বসবাস করছেন। সম্প্রতি খোরশেদ মিয়া নামের এক প্রতিবেশী জমিটি দখলের চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করলে আদালত ওই জায়গায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২৯ মে বিকেলে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার ১৫ থেকে ২০ জন সহযোগী নিয়ে জমির সীমানাপ্রাচীর ভাঙচুর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে শাহানারা ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। এ খবর পেয়ে ৩১ মে লাকি আক্তার আবার লোকজন নিয়ে এসে সীমানাপ্রাচীর ভেঙে দেন। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে লাকি ও তাঁর লোকজন সেখানে নতুন করে দেয়াল নির্মাণ করতে শুরু করেন। দেয়াল নির্মাণে বাধা দিলে শাহানারা, তাঁর ভাশুর ও ভাশুরের ছেলেকে মারধর করা হয়। তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় হামলাকারীরা। পরে আইনজীবী শাহানারা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে।

শাহানারা বলেন, লাকি আক্তার স্থানীয়ভাবে টাকার বিনিময়ে জমি দখলের কাজ করেন। খোরশেদ মিয়ার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি জমি দখল করতে এসেছিলেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লাকি আক্তার। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি কারও ওপর হামলা করেননি। একপর্যায়ে এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান মহিলা আওয়ামী লীগের এই নেত্রী।

মো. খসরু নামের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘লাকি আক্তার ও তাঁর পরিবারের লোকজন সকাল বেলা লাঠিসোঁটা ও শাবল নিয়ে এসেছিলেন। তখন আমরা ভয়ে পালিয়ে যাই। পরে শুনেছি, তাঁরা ওই আইনজীবীর পরিবারের লোকজনকে মারধর করেছেন।’

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। ঘটনাটি তাঁরা জেনেছেন। হামলার ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।