মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নতুন প্রজন্মকে ভূমিকা রাখার আহ্বান

কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে বাদ্যযন্ত্র বিতরণ করছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, সাপাহার, নওগাঁ, ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর
ছবি: প্রথম আলো

অপসংস্কৃতি থেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করাতে হবে। বাল্যবিবাহ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে তাদের ভূমিকা রাখতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নওগাঁর সাপাহারে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মধ্যে বাদ্যযন্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সংস্কৃতিমনা প্রজন্ম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। অপসংস্কৃতি থেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে। বাল্যবিবাহ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জনপ্রতিনিধি, নিকাহ রেজিস্ট্রার ও প্রশাসনকে সোচ্চার হতে হবে। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টির কাজে সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। বাল্যবিবাহের মতো মাদকও একটি বড় সমস্যা। যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। তাঁদের মাদকের ভয়াবহতার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) ভূমিকা পালন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও মানুষের স্বাভাবিক জীবনচিত্র থমকে ছিল। এর মধ্যেও সরকার মানুষের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে গেছে। করোনা মহামারি শুরু হলে রাজনৈতিক বিরোধীরা বলতে শুরু করেছিল দেশে খাদ্যসংকটে অনেক মানুষ মারা যাবে। কিন্তু করোনার মধ্যেও দেশে কোনো খাদ্যসংকট হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত সব সেক্টরে প্রণোদনা দিয়েছেন। অসহায় মানুষের খাদ্যের অভাব হলে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তাঁদের কাছে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সাপাহার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে দুই লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির ৭৪১ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।