মাদক থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী: পুলিশ

নরসুন্দর পঙ্কজ শীল
ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় আলোচিত নরসুন্দর পঙ্কজ শীল (৩৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, স্বামীকে মাদকের নেশা থেকে ফেরাতে না পারা ও অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে ভাতিজাদের সঙ্গে নিয়ে সোনালী রানী শীল (২৭) তাঁর স্বামীকে হত্যা করেন।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, গতকাল রোববার দুপুরে পঙ্কজের বন্ধু রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই পঙ্কজের স্ত্রী সোনালী রানী শীলসহ তাঁর দুই ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার দুই ভাতিজা হলেন বিশ্বজিৎ শীল (২২) ও শুভ শীল (২০)। তাঁরা সবাই উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বাড়ইকরণ গ্রামের বাসিন্দা।

পঙ্কজের স্ত্রী সোনালীর বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, খুন হওয়া পঙ্কজ প্রায়ই নেশা করতেন। এমনকি নিজের দুই শ্যালকের স্ত্রীদের নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টাও চালিয়েছেন। এ ছাড়া পঙ্কজ প্রায়ই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। তাই শ্যালকের ছেলেরা ও স্ত্রী সোনালী সংঘবদ্ধ হয়ে পঙ্কজকে হত্যা করেন।

১১ জুন সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের পশ্চিম বাড়ইকরণ গ্রামের শহীদিয়া খাল থেকে পঙ্কজ শীলের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত পঙ্কজের বাবা নরেন্দ্র চন্দ্র শীল। এরপর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ।

ওসি আতাউর রহমান আরও বলেন, পঙ্কজ হত্যা মামলায় শ্যালকের ছেলে বিশ্বজিৎ ও শুভকে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর তাঁর স্ত্রী সোনালী রানী শীল এখনো হেফাজতে আছেন। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।