মানিকগঞ্জে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার সেই পোশাককর্মী মারা গেছেন

অ্যাসিড সন্ত্রাস
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়া পোশাককর্মী সাথী আক্তার (১৯) মারা গেছেন। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

সাথী আক্তার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ফেরাজিপাড়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে। সাবেক স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে সাথীর শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এ ঘটনায় সাথীর মামা লাল মিয়া থানায় সাবেক স্বামী মো. নাঈম মল্লিককে (৩০) আসামি করে মামলা করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে মানিকগঞ্জ সদরের বেতিলা গ্রামের নিজাম উদ্দিন মল্লিকের ছেলে নাঈম মল্লিকের সঙ্গে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ফেরাজিপাড়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে সাথীর বিয়ে হয়। মাদকসেবী হওয়ায় নাঈম ঠিকমতো কাজ করতেন না। যৌতুকের জন্য সাথীকে মারধর করতেন। পরে প্রায় চার মাস আগে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থেকে ঢাকার ধামরাই উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি নাঈম সাথীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন।

গত ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাত প্রায় একটার দিকে ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে নাঈম সাথীকে অ্যাসিড ছোড়েন। অ্যাসিডে সাথীর মুখ, গলা ও হাত ঝলসে যায়। এ ছাড়া সাথীর মা জুলেখা বেগমের ডান কানের পাশ এবং ছোট বোন ইতি আক্তারের দুই হাতের আঙুল পুড়ে যায়।

ওই রাতেই সাথীকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার সাকরাইল এলাকা থেকে আসামি নাঈমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সাথীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, গতকাল মধ্যরাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথী আক্তারের মৃত্যু হয়। আসামি নাঈম কারাগারে।