মির্জাগঞ্জে ‘ভাই’ বলায় সাংবাদিকের ওপর খেপলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন

‘আমাকে ভাই বললেন কেন? আপনি আমার কেমন ভাই? খালাতো ভাই নাকি চাচাতো ভাই?’

‘স্যার’ না বলে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় খেপে গিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিককে এভাবে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন। এ সময় তিনি ওই সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে রিয়াজ কাজী নামের এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান দৈনিক যুগান্তরের মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি ও মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। তিনি নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসনকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে সমস্যাটির সমাধান করার করণীয় বিষয়ে জানতে চান। এতে খেপে যান ওই কর্মকর্তা। তখন তিনি রফিকুলকে বলেন, ‘আমাকে ভাই বললেন কেন? আমি আপনার কেমন ভাই? খালাতো ভাই না চাচাতো ভাই?’ এসব বলে তিনি ওই সাংবাদিক নেতার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই বলে সম্বোধন করায় তিনি নানান অশোভন আচরণ করেছেন। তিনি আমাকে বাজে ভাষায় গালাগাল করেছেন। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’

মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আসলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজটি ঠিক করেননি। তাঁদের কাছে মানুষ সেবা পেতে চায়। তাঁর আচরণে মনে হচ্ছে, তিনি সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে শুধু স্যার সম্বোধন শুনতেই এসেছেন। সেবা দিতে আসেননি। তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত।’

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোর কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি তাকে ভালো চিনি না। তিনিও আমার সঙ্গে রেগে রেগে কথা বলেছেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। মির্জাগঞ্জ নির্বাচন কর্মকর্তা কেন এ রকম অশোভন আচরণ করেছেন, তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে।’