মুহুরি নদীর পাড়ে ভারতীয় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ঝুলন্ত লাশ
প্রতীকী ছবি

ফেনীর পরশুরামে ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন মুহুরি নদীর পাড়ে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ভারতীয় এক নারীর লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর নাম আরতি রানী দাস (৫০)। তিনি ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়ার রামঠাকুর পাড়ার সুরেন্দ্র দাসের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সোমবার সকালে দুবলাচাঁদ এলাকার লোকজন ঘুম থেকে ওঠে নদীর পাড়ে একটি গাছের সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে খবর দেন। কাউন্সিলর আবদুল মান্নান ওই স্থানে গিয়ে বিষয়টি পরশুরাম থানার পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় গ্রামবাসী প্রথমে ওই নারীর পরিচয় জানতে না পারলেও পরে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই নারীর নাম আরতি রানী দাস (৫০)। তিনি ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরা বিলোনিয়ার রামঠাকুর পাড়ার সুরেন্দ্র দাসের স্ত্রী। ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন সুরেন্দ্র দাসের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে প্রভা রানী দাস। তিনি ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা।

প্রভা রানী দাস বলেন, তাঁর মা হিরনী রানী দাস ৩০ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তাঁর বাবা সুরেন্দ্র দাস ভারতে চলে যান। সেখানে আরতি রানীকে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেন। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না প্রভা রানী দাসের। এর মধ্যে ভারতেই মারা গেছেন সুরেন্দ্র দাস।

ভারতীয় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর বর্তমান ঠিকানা ভারতে, কিন্তু কীভাবে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন, তা পুলিশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে, তা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে। আপাতত পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেছে।

ভারতের ত্রিপুরার বিলোনীয়া থানার ওসির উদ্ধৃতি দিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর ছেলে মেয়েরা লাশটি ভারতে নিয়ে যেতে সরকারি প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে বাংলাদেশ পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।