মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, দেওয়া হলো মাটিচাপা

শেরপুরে গারো পাহাড় থেকে উদ্ধার করা মৃত হাতি। আজ দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা বেড়বেড়ি এলাকায় হাতিটি মাটিচাপা দেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় থেকে উদ্ধার করা মৃত হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা গজনী বিটের বেড়বেড়ি এলাকায় ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেড়বেড়ি এলাকা থেকে মৃত হাতিটি উদ্ধার করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

সকালে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন। সাদিয়া আফরিন প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিটির পিঠে একটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। হাতিটির পেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গেছে ও শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে হাতিটি মারা যেতে পারে। তবে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষার পর হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে কয়েকজন বাসিন্দা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১১০১ নম্বর পিলারের কাছে ঝিনাইগাতী উপজেলার বেড়বেড়ি এলাকায় একটি বন্য হাতির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি তাঁরা বন বিভাগকে জানান। সন্ধ্যায় বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিটের কর্মকর্তা এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত হাতিটি উদ্ধার করেন।

বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আঘাতজনিত কারণে নাকি বিষক্রিয়ায় হাতিটি মারা গেছে, সেটি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। তখন আইনানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ছয় মাসে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী সীমান্ত এলাকা থেকে চারটি মৃত হাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের ৯ নভেম্বর শ্রীবরদীর মালাকোচা গ্রামে একটি, ১৯ নভেম্বর নালিতাবাড়ীর ফেকামারি (পানিহাটা) গ্রামে একটি, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইগাতীর আঠারঝোড়া গ্রামে একটি ও গতকাল বেড়বেড়ি গ্রাম থেকে একটি মৃত হাতি উদ্ধার করা হয়। শ্রীবরদীর মালাকোচা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হাতিটির মৃত্যুর ঘটনায় শেরপুরের বন আদালতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে চারজনের বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা করা হয়।