ময়মনসিংহের লোকালয়ে এ কোন অচেনা প্রাণী
দেখতে বিড়ালের আকৃতির হলেও গায়ে কিছুটা ডোরাকাটা দাগ। বড় বড় কালচে চোখ আর ডোরাকাটা লম্বা লেজ। সামনের পা দুটি কালো। প্রথম দেখায় বেশ হিংস্র লাগে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে এমনই এক প্রাণী আটক করা হয়েছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামে। প্রাণীটির নাম বলতে পারছেন না কেউ।
অচেনা প্রাণীটিকে দেখে প্রথমে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে এটিকে আটক করা হয়। বেলা তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাণীটি একটি লোহার খাঁচায় আটক অবস্থায় ছিল।
মাইজহাটি গ্রামের লুৎফুর রহমান বলেন, আজ দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে হাবিবুর রহমান নামের একজনের বাড়ির পরিত্যক্ত মালামাল রাখার ঘরে ঘাপটি মেরে থাকা অচেনা প্রাণীটি দেখতে পায় এক শিশু। বড় বড় চোখ ও কালচে রঙের প্রাণীটি দেখে শিশুটি ভয় পাওয়ার কথা জানায়। পরে প্রাণীটির কাছে গিয়ে কালচে চোখ ও ডোরাকাটা লেজ দেখে ভয় পেয়ে যান হাবিবুরও।
খবর পেয়ে কৌতূহল নিয়ে প্রাণীটি দেখতে আসেন আরও অনেকে। পরে গ্রামের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সবাই মিলে জাল পেতে প্রাণীটিকে আটক করে পাখি পোষার একটি লোহার খাঁচায় বন্দী করে রাখেন। লুৎফুর বলেন, আটকের পর কেউ কেউ প্রাণীটিকে মেরে ফেলার কথা বললেও গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ এটিকে বাঁচিয়ে রেখে কোনো সাফারি পার্কে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।
মাইজহাটি গ্রামের মো. রাকিবুল নামের এক তরুণ বলেন, এর আগে মাইজহাটি গ্রামের কোথাও এ ধরনের প্রাণী তাঁরা দেখেননি। কাজেই এটি কোথা থেকে এসেছে, সে ব্যাপারে গ্রামবাসী কোনো ধারণা করতে পারছেন না। প্রাণীটির নামও কেউ বলতে পারছেন না। তবে দেখতে কিছুটা ভয়ংকর হওয়ায় এটিকে আটক করে রাখা হয়েছে।
গ্রামের আরও একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রাণীটিকে আটক করার সময় এটি হিংস্র আচরণ করতে শুরু করে। গ্রামবাসী জোর করে আটক করার সময় এটি দাঁত ও পায়ে আঘাত পেয়েছে।